যে কেউ যেকোনো বয়সে গুলেন ব্যারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

তথ্য বলছে, সেখানে ক্যাম্পাইলোব্যাকটারে আক্রান্ত প্রতি হাজারে একজন জিবিএসে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া জিবিএসে আক্রান্ত প্রতি ২০ জনের একজন বা সর্বোচ্চ আটজন তার আগে ক্যাম্পাইলোব্যাকটার সংক্রমণের শিকার হয়।

গুলেন ব্যারি সিনড্রোমে বাংলাদেশে আক্রান্ত হওয়ার হার এবং খারাপ পরিস্থিতি হওয়ার হার বেশি। তবে দেশে এ রোগে কতজন মৃত্যুবরণ করে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পাবমেডে প্রকাশিত বাংলাদেশে গুলেন ব্যারি সিনড্রোম নিয়ে করা এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, এ রোগে কত ঘন ঘন সবাই আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি কতটা সেটা নিয়েই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ৪০৭ জন জিবিএস রোগীর ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তার সঙ্গে যারা এ রোগ থেকে সেরে উঠেছে এবং জীবিত রয়েছে তাদের বিষয়টাও চিন্তা করা হয়েছে যেন ঝুঁকিটা ঠিকমতো বোঝা যায়।

সেই তথ্য বলছে, ৪০৭ জন জিবিএস রোগীর মধ্যে ৫০ জন (১২ শতাংশ) মৃত্যুবরণ করেছে। প্রাণ হারানোদের মধ্যে ২৪ জনের বয়স ছিল ৪০ বছরের ওপরে, ২৭ জনের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দরকার পড়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছে কোনো ভেন্টিলেশন না পাওয়ার কারণেই।

বাংলাদেশে জিবিএসে আক্রান্ত হয়ে বেশি মৃত্যুহারের কারণ ভেন্টিলেটরের কমতি থাকা, রোগের তীব্রতা। তাছাড়া আইসিডিডিআর, বির এক গবেষণায় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল ১৮ বছরের কম বয়সী ১৭৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জিবিএসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই ছিল শিশু-কিশোর। গবেষণাকালে মৃত্যুবরণ করে ২০ জন (১১ শতাংশ)।